জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হতে হবে- মৃণাল
অনি হাসানঃ
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হতে হবে। মানবিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনগণের জীবনঘনিষ্ঠ সংগঠনে পরিণত হতে হবে।
রবিবার গজারিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভঅপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক ুএ.কে.এম আফজালুর রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফুর রহমান টিটু।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ তাজুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রেফায়েতুল্লাহ খান তোতা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন, আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন, মমিনুল হক টিটু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, জেলা পরিষদ সদস্য সাইদুর রহমান খান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লণাহ, মনিরুল হক মিঠু, ইঞ্জি. সাহিদ মো. লিটন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা হাই টুনি, কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল গোস্বামী, নজরুল ইসলাম মুন্সী, মোহাম্মদ ফয়সাল, এ্যাড. সানিয়েল আরিফিন, মেহেরুন্নেছা উত্তরা, নজরুল ইসলাম মুন্সী, সুমন দেওয়ান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু, মিজানুর রহমান প্রধান, শহিদুজ্জামান সরকার জুয়েল, কামরুল হাসান ফরাজী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই পঞ্চাশের দশকে এদেশের মানুষের কল্যাণে, মানবসেবাকে আরও অধিকতর কার্যকর করতে আওয়ামী লীগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ কর্মীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলেন। যে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্দে গণমানুষের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালনের পাশাপাশি বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধেও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী অত্যন্ত সাহসী ও কার্যকর অবদান রাখে। রাজনৈতিক বিবর্তনের ধারায় সময়ের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ৯০’এর দশকের মধ্যভাগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনে কাজ করা অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের বিষয়। এজন্য সকলকে প্রকৃত সেবাধর্মে উদ্দীপিত হতে হবে। দুস্থ, দারিদ্র্য, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, রোগাগ্রস্থ, সমস্যাদীর্ণ মানুষের পাথে দাঁড়াতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে মানুষ যখন বিধ্বস্ত তখন তাদের পাশে গিয়ে সেবার কোমল হাত প্রসারিত করে দেওয়া মানুষ হিসেবেই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বন্যার্ত, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এক সময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্য পীড়িত বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিশ^স্ত ভ্যানগার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হতে হবে। মানবিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনগণের জীবনঘনিষ্ঠ সংগঠনে পরিণত হতে হবে।